মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে যুব প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিজয়ীগণ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত যুব প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে একই ক্যাটাগরিতে উন্নয়ন সংস্থার আশাশুনি শাখার “উন্নয়নে যুব সমাজ” সদস্যদের মধ্য থেকে সারাদেশব্যপী দ্বিতীয় এবং সপ্তম হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।



সেজন্য পিকেএসএফ হতে প্রেরিত মোবাইল ট্যাব এবং ব্যাগপ্যাক বিজয়ীদের হাতে তুলে দিচ্ছেন আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম হোসেনুজ্জামান হোসেন মহোদয়।



এসময় শাখা ব্যবস্থাপক মো. সাহরিয়ার হোসেন, ইউপি সদস্য মো. শাহিন হোসেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইকবাল কবির সহ অফিসের সকল স্টাফবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় উন্নয়ন সংস্থার পুরষ্কার অর্জন

উন্নয়ন সংস্থার আশাশুনি শাখার আরো দুটি পুরষ্কার অর্জন। একই ক্যাটাগরিতে সারা বাংলাদেশ থেকে দুইটি স্থান অর্জন করলো আশাশুনি সমৃদ্ধি শাখা।



মুজিব শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউণ্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর ‘সমৃদ্ধি’ কর্মসূচির আওতায় সংগঠিত যুবদের নিয়ে আয়োজিত চারটি ক্যাটাগরির মধ্যে পিকেএসএফ-এর সমগ্র বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত চিত্রাঙ্কনের মধ্যে উন্নয়ন সংস্থার আশাশুনি উপজেলার সমৃদ্ধি কর্মসূচির সংগঠিত যুব সদস্য জয়দ্রত কুমার শীল দ্বিতীয় স্থান অর্জন এবং একই ক্যাটাগরিতে সপ্তম স্থান অর্জন করেছেন মালিহা তাবাসছুম ঐশী। যেটি পিকেএসএফ-এর স্মরণিকা “প্রেরণায় বঙ্গবন্ধু” তে স্থান পেয়েছেন।

আশাশুনিতে উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে শেখ রাসেল দিবস পালিত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার (১৮ অক্টোবর) ২০২১ বাদ আসর আশাশুনি উন্নয়ন সংস্থার শাখা অফিসে সমৃদ্ধি কর্মসূচির “উন্নয়নে যুব সমাজ” সদস্যদের উদ্যোগে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।



সমৃদ্ধি কর্মসূচির সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: জাবের হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমৃদ্ধি ইউনিয়ন সমন্বয়কারী মো: জহুরুল ইসলাম, শাখা ব্যবস্থাপক মো: ঈদ্রীস আলী, মাওলানা মো: মইনুর ইসলাম, সমৃদ্ধি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক কাম হিসাবরক্ষক, মৎস্য কর্মকর্তা, সমৃদ্ধি কর্মসূচির “উন্নয়নে যুব সমাজ” এর বিভিন্ন ওয়ার্ডের যুব সদস্যবৃন্দ প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে মাওলানা মো: মইনুল ইসলাম দোয়া পড়ান।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, ছোট্ট শিশু রাসেলকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে ঘাতকেরা নির্মমভাবে হত্যা করে রাসেলকে। মাত্র ১০ বছর বয়সে তাকে যদি হত্যা করা না হতো তাহলে তিনি বেঁচে থাকলে বাবার আদর্শ নিয়ে অনেক কিছু করতে পারতেন। শেখ রাসেল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা অঞ্চলের ধানমন্ডিতে ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে ১৮ অক্টোবর, ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে রাসেল সর্বকনিষ্ঠ। শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।



বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশে রাসেলকে নিয়ে পালানোর সময় ব্যক্তিগত কর্মচারীসহ রাসেলকে অভ্যুত্থানকারীরা আটক করে। আতঙ্কিত হয়ে শিশু রাসেল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, “আমি মায়ের কাছে যাব”।পরবর্তীতে মায়ের লাশ দেখার পর অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিনতি করেছিলেন “আমাকে হাসু আপার (শেখ হাসিনা) কাছে পাঠিয়ে দাও”।

ব্যক্তিগত কর্মচারী এএফএম মহিতুল ইসলামের ভাষ্যমতে,”রাসেল দৌড়ে এসে আমাকে জাপটে ধরে। আমাকে বললো, ভাইয়া আমাকে মারবে না তো? ওর সে কণ্ঠ শুনে আমার চোখ ফেটে পানি এসেছিল। এক ঘাতক এসে আমাকে রাইফেলের বাট দিয়ে ভীষণ মারলো। আমাকে মারতে দেখে রাসেল আমাকে ছেড়ে দিল। ও (শেখ রাসেল) কান্নাকাটি করছিল যে ‘আমি মায়ের কাছে যাব, আমি মায়ের কাছে যাব’। এক ঘাতক এসে ওকে বললো, ‘চল তোর মায়ের কাছে দিয়ে আসি’। বিশ্বাস করতে পারিনি যে ঘাতকরা এতো নির্মমভাবে ছোট্ট সে শিশুটাকেও হত্যা করবে। রাসেলকে ভিতরে নিয়ে গেল এবং তারপর ব্রাশ ফায়ার।”

উন্নয়ন সংস্থায় শোক দিবস পালিত

যথাযথভাবে গাম্ভীর্যপূর্ণ মর্যাদার সাথে ১৫ ই আগস্ট ২০২১ উন্নয়ন (একটি আর্থসামাজিক প্রতিষ্ঠান)- এ জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়।  শোকার্ত পরিবেশে পালিত এই দিবসের মূল অনুষ্ঠান ছিল আলোচনা সভা অতি দরিদ্র মানুষদের মাঝে ১০০০ পিছ গাছের চারা ও ১৫০০ পরিবারের মাঝে সবজির বীজ বিতরন।

উক্ত অনুষ্ঠানে সংস্থার উপকারভোগী সাধারন সদস্যবৃন্দসহ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ্য চেয়্যারমান প্রভাষক জনাব মোনােয়ম হোসেন মহোদয় এবং আরো উপস্থিত ছিলেন প্রসপারিটি প্রকল্পের কারিগরি কর্মকর্তাবৃন্দ শাখা ব্যবস্থাপক বৃন্দ এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন বাঙালি জাতির জীবনে যে অল্প কয়েকজন মানুষ ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তার মধ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অন্যতম মুক্তিযুদ্ধের সময়কার আহবানে জেগে উঠেছিল সমগ্র জাতি ৩০ লক্ষ বাঙালির রক্তে রঞ্জিত বাঙালির তিনি হয়ে উঠেছিলেন মুক্তির প্রতীক উৎস প্রেরণার উৎস কিন্তু ১৫আগস্ট ভয়াল রাত্রিতে আমরা সেই অবিসংবাদিত নেতা কে হারিয়েছি।

এরপরে একে এক অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ বক্তব্যে বলেন বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতীয় জীবনের প্রেরণা পুরুষ ১৯৭৫ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীর কিছু বিপদগামী কর্মকর্তার হাতে সপরিবারে প্রাণ হারান এই মহান নেতা ভূলুণ্ঠিত হয় স্বাধীনতার সূর্য । ১৫ আগস্ট আমাদের জাতীয় জীবনে একটি কালো অধ্যায় দিনটি প্রত্যেক বাঙালী গভীর বেদনা সঙ্গে স্মরণ করে।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষ হলে অতিদরিদ্র সদস্যদের মাঝে ১০০০পিস চারা গাছ বিতরণ করা হয় এবং ১৫০০ পরিবারের মাঝে সবজির বীজ বিতরণ করা হয় । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন এক টুকরো খালি জায়গা যেনো পড়ে না থাকে সেই লক্ষ্যে কিছুটা হলে উন্নয়ন সংস্থার এই চারা ও বীজ বিতরনের মধ্যে দিয়ে পরিপূর্ণ হবে। পূরণ হবে অতিদরিদ্র মানুষের পুষ্টির চাহিদা, দেশ হবে স্বনির্ভর । আর্থসামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে প্রতিটি অতি দরিদ্র পরিবার সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে উন্নয়ন সংস্থা।