খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নব-নিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনকে তাঁর নিজ কার্যালয়ে উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জনাব এস. এম. মোস্তাফিজুর রহমান এর পক্ষে উপাচার্য মহোদয়কে ক্রেষ্ট প্রদান করেন সংস্থার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যায়ন শেষে উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত সহকারী মানবসম্পদ কর্মকর্তা ছাবেকুন্নাহার, এমআইএস অফিসার মুনিভা ইসলাম ও ডকুমেন্টশন অফিসার মহিব্বুল্লাহ আল মারুফ।
নব-নিযুক্ত উপাচার্যের সাথে মত বিনিময়ে উন্নয়ন সংস্থার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র একটি গতানুগতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয় এটি গবেষণার সূতিকাগার। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ফলাফল ও দিক নির্দেশনা উপকূলীয় অঞ্চলের সমস্যা নিরসনে কার্যকর ভূমিকা পালনসহ দেশ ও জাতির কাঙ্খিত উন্নয়নে অবদান রাখছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, ২০১৯ সালে স্পেনের সিগমা ল্যাব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্কোপাসের পরিচালিত এক জরিপে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবনী ক্যাটাগরীতে প্রথম ও গবেষণায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করে; এটা জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।
তিনি উপাচার্য মহোদয়কে অবহিত করেন যে, উন্নয়ন সংস্থা ১৯৮৩ সাল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জন্য জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের অভিঘাত মোকাবেলাসহ বিশুদ্ধ খাবার পানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বহুবিধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে।
পরিশেষে উপাচার্য মহোদয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আদর্শ ও অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রুপদান পূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ফলাফল কাজে লাগিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিরসন করে দেশের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
Recent Comments